শিক্ষকের চেয়ারে বসায় ঝালকাঠিতে ছাত্রের কব্জি কেটে দিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক ! Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




শিক্ষকের চেয়ারে বসায় ঝালকাঠিতে ছাত্রের কব্জি কেটে দিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক !

শিক্ষকের চেয়ারে বসায় ঝালকাঠিতে ছাত্রের কব্জি কেটে দিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক !




ঝালকাঠি সংবাদদাতা॥  ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় চেয়ারে বসায় এক মাদ্রাসাছাত্রের কব্জি কেটে দিলেন শিক্ষক। আহত ছাত্রের নাম মো. সাব্বির হোসেন (১৪)। শনিবার বিকালে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ফোরকান হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ওই মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির আহত শিক্ষার্থী মো. সাব্বির হোসেনের মা তাসলিমা বেগম।

আহত সাব্বির নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের অটোরিকশাচালক মো. আবদুল আলিমের ছেলে ও শিক্ষক ফোরকান হোসেন একই এলাকার মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে। জানা যায়, গত ১২ জুন (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে আহত শিক্ষার্থীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ওই শিক্ষক। এতে ঘটনার আট দিন পর শিক্ষার্থীর ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গত শুক্রবার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত শিক্ষার্থী সাব্বিরকে ভর্তি করে তার পরিবার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সাব্বির হোসেন বলেন, হুজুরের (শিক্ষক) ও আমার বাড়ি মাদ্রাসার পাশেই। আমাদের মাদ্রাসার দরজা-জানালা না থাকায় ঘটনার দিন আমি দুই বন্ধুকে নিয়ে মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে চেয়ারে বসেছিলাম।

এ সময় হুজুর এসে চেয়ারে বসার কারণে আমাদের গালমন্দ করেন। যখন আমরা মাদ্রাসা থেকে চলে যাচ্ছিলাম, হুজুর তখন আমাকে ধরে প্রথমে চড়থাপ্পড় মারেন। এর পর হুজুরের হাতে থাকা দা দিয়ে আমাকে কোপ দিতে গেলে আমি হাত দিয়ে তা থামাই। এ সময় আমার বামহাতের কব্জি কেটে যায়। আহত সাব্বিরের মা তাসলিমা বেগম বলেন, শিক্ষকের দায়ের কোপে আহত হওয়ার পর আমার ছেলেকে রাজাপুর হাসপাতালে না এনে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।

ফলে ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। তিনি বলেন, এ ঘটনার বিচার চাই। তবে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কোথাও কোনো অভিযোগ করতে পারিনি। অভিযোগ করলে গ্রামে থাকাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক ফোরকান হোসেন বলেন, আমি সাব্বিরকে কোপ দিইনি। ঘটনার দিন মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। মাদ্রাসার পাশের একটি সবজি ক্ষেতে আমি কাজ করছিলাম।

তখন মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষকদের চেয়ারে বসে টেবিল চাপড়ে গান-বাজনা করছিল সাব্বির ও তার বন্ধুরা। তখন আমি সেখানে গিয়ে সাব্বিরকে গালমন্দ করি ও চড়থাপ্পড় দিই। এ সময় আমার হাতে থাকা দায়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে সাব্বিরের হাত কেটে যায়। ওর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমি বহন করছি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD